স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা মহামারীতে ইজারা নেয়ার পর পরই লকডাউনের সময় সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুব কম সংখ্যক লোকজন ট্রলারে পারাপার হওয়ায় ইজারারা টাকা উঠছেনা নগরীর কীর্তনখোলা নদীর বেলতলা খেয়াঘাটের ইজারাদার মোখলেছুর রহমান সিকদারের। ফলে অনেকটা দিশেহারা হয়ে তিনি (ইজারাদার) এখন নিঃস্ব হয়ে পরেছেন। এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য মোখলেছুর রহমান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেও অদ্যবর্ধি কোন সুফল পাননি। এমনকি বেলতলা খেয়াঘাটের বিপরিত পাশে চরমোনাই ঘাটে টার্মিনাল থাকলেও বেলতলা ঘাটে টার্মিনাল না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ট্রলারে পারাপার হওয়া যাত্রীদের। বেলতলা ঘাটে টার্মিনালের পাশে কোন রকম দায়সারা ভাবে ট্রলার নোঙর করা হচ্ছে। ফলে ট্রলার থেকে ওঠানামার সময় নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন যাত্রীরা। এছাড়াও সাধারণ মানুষ, মোটরসাইকেল, সাইকেলসহ মালামাল পারাপারে বাড়ছে চরম ঝুঁকি। সূত্রমতে, বরিশাল জেলা পরিষদের অধীনে ১৪২৭ বাংলা সনের ইজারা গ্রহণ করেন মোখলেছুর রহমান। তিনি ৫৪ লাখ টাকা ধার দেনা করে কর্তৃপক্ষকে ওইবছরের ইজারার টাকা পরিশোধ করেন। সূত্রে আরও জানা গেছে, ইজারা নেয়ার পর পরই প্রথম দফায় করোনার প্রভাব পরায় লকডাউনের কারণে খেয়াঘাটের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিশাল অঙ্কের টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে ইজারাদারকে। বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায়ও স্বল্প সংখ্যক মানুষ খেয়াঘাট ব্যবহার করে ট্রলারে পারাপার হচ্ছেন। যেকারণে আগের বছরের ধার দেনার টাকা পরিশোধ করাতো দুরের কথা বর্তমানে চরম আর্থিক সংকটে অভাব অনাটনের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ইজারাদার মোখলেছুর রহমান সিকদার। এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা সত্বেও কোন সুফল পাননি। ইজারাদার মোখলেছুর রহমান সিকদার বলেন, ইজারাদাতা কর্তৃপক্ষ জেলা পরিষদ ১৪২৮ বাংলা সনের ইজারা স্থগিত করে পূর্বের ইজারা মূল্যে আমাকে মানবিক কারণে পূর্ণরায় ইজারাদার হিসেবে মনোনিত করলে হয়তো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব হবে। নতুবা ধারের টাকার পরিশোধ করতে না পারার কারণে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকবে না। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে।
Leave a Reply